স্পোর্টস ডেস্ক: ঠিক যেন ছেলেদের অ্যাশেজের পুনরাবৃত্তি। উসমান খাজার সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লিডের সম্ভাবনা তৈরি করলেও, শেষ পর্যন্ত তাদের থামতে হয় ৭ রান দূরত্বে থেকে। এবার মেয়েদের অ্যাশেজে একইভাবে অজিদের দেওয়া প্রথম ইনিংসের রান থেকে ১০ রান দূরত্বে থেমে গেছে ইংল্যান্ড। তবে এদিন ডাবল সেঞ্চুরি করে ইংলিশ ব্যাটার ট্যামি বিউমন্ট ৮৮ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙেছেন।
অ্যাশেজের একমাত্র টেস্টে অস্ট্রেলিয়া আগে ব্যাট করে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের সেঞ্চুরিতে ৪৭৩ রান করেছিল। ৮ নম্বর ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করে মেয়েদের টেস্টে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন সাদারল্যান্ড। এছাড়া অলরাউন্ডার এলিসে পেরিও (৯৯) সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরত্বে আউট হয়েছিলেন। তাদের নেওয়া রানপাহাড়ের জবাবে ইংলিশরা শুরু থেকে ছিল বেশ গোছানো। যার উজ্জ্বল প্রমাণ ওপেনার বিউমন্টের ডাবল সেঞ্চুরি।
এর মাধ্যমে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার নারী অ্যাশেজও পুরোপুরি জমে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে গার্ডনারের বলে আউট হওয়ার আগে বিউমন্ট থেমেছেন ২০৮ রানে। ব্যক্তিগত দ্বিশতকের আগেই তিনি ভেঙেছেন ৮৮ বছর আগের একটি রেকর্ড। ইংল্যান্ডে মেয়েদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাধিক রান করার নজির গড়েছেন তিনি। তার করা ডাবল সেঞ্চুরি ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম এবং মেয়েদের টেস্ট ইতিহাসে অষ্টম। নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিকেই তিনি ডাবলে পরিণত করেছেন।
এর আগে ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড ছিল বেটি স্নোবলের। ১৯৩৫ সালে সালে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংলিশ ব্যাটারদের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৮৯ রান করেছিলেন। যার ৫৬ বছর পর জন্ম হয়েছে বিউমন্টের। বিউমন্ট বর্তমানে খেলছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান। আরেকজন তার প্রতিপক্ষ অজি অলরাউন্ডার এলিসে পেরি, যিনি এই ম্যাচেও ৯৯ রান করেছেন।
বিউমন্ট সপ্তাহখানেক আগেও রানের দ্বিশতক করেছিলেন। তবে সেটি ছিল ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিপক্ষে দেখানো ফর্ম তিনি মূল ম্যাচেও ধরে রাখলেন। তার ব্যাটে ভর করেই অজিদের প্রথম ইনিংসে করা ৪৭৩ রানের কড়া জবাব দিল ইংল্যান্ড। বিউমন্ট ৩৩১ বলে ২৭টি চারের বাউন্ডারিতে তিনি ২০৮ রান করেন।
তবে অল্পের জন্য তাদের লিড নেওয়া হয়নি। ৪৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ফলে ১০ রানের লিড পেয়েছে অজিরা। বিউমন্টের রেকর্ডগড়া ইনিংস ছাড়া ইংলিশদের হয়ে ন্যাট-শাইভার ব্রান্ট ৭৫, হিথার নাইট ৫৮ এবং ড্যানি ওয়াট ৪৪ রান করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যাশলে গার্ডনার সর্বোচ্চ ৪টি এবং তালিয়া ম্যাকগ্রা নেন ৩টি উইকেট।
১০ রানের লিড হাতে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে অজিরা মারকাটারি ব্যাট করতে শুরু করেন। দুই ওপেনারই ব্যাট করেছেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। মাত্র ১৯ ওভারেই তারা ৮২ রান তুলে ফেলেছেন। ফলে তৃতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার লিড দাঁড়িয়েছে ৯২ রানে। বেথ মুনি ৩৩ এবং ফোবে লিচফিল্ড অপরাজিত রয়েছেন ৪১ রানে।